খালি পেটে টক দই খেলে কি হয় বিস্তারিত জানুন
দেহকে সুস্থ-সবল রাখতে নিয়ম-কানুন মেনে চলার পাশাপাশি খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। খাবারের মধ্যে অন্যতম খাবার হচ্ছে টক দই। টক দইয়ে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি উপাদান থাকে। এছাড়াও দুধের মতো পুষ্টি গুণ থাকায় দুধের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে। টক দইয়ের উপকারিতা অনেকে জানলেও খালি পেটে টক দই খেলে কি হয় এবং প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয় তা অনেকেই জানে না। তাই আজকে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
টক দইয়ে নানারকম পুষ্টিকর উপাদান থাকে। তাই নিয়মিত টক দই খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও যারা দুধ খেতে পারে না তারা নিয়মিত দই খেলে দুধের ঘাড়তি পূরণ হয়ে যায়।
ভূমিকা
টক দই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। টক দইয়ে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাঁড় গঠন করতে এবং হাঁড় ও দাঁত কে মজবুত করতে সাহায্য করে। টক দই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। টক দইয়ে ল্যাকটিক এসিড থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং দই সহজে হজম হয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। টক দইয়ে আমিষ থাকায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে। টক দই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। টক দই খেলে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে পারে না। ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
টক দই এর পুষ্টিগুণ
টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি২ ও বি ১২ উপাদান পাওয়া যায়। টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা খিদে লাগা রোধ করে। খিদে কম লাগার কারণে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। টক দই প্রোবায়োটিকে ভরপুর থাকে। প্রোবায়োটিক হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে ও অন্তরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পেট ফোলা এবং ডায়রিয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্ষতি কারক কোলেস্টেরল কমিয়ে আটকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায় যা দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম সহ জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। টক দইয়ের প্রাকৃতিক ভাবে ল্যাকটিক এসিড পাওয়া যায় যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে তোকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে টক দইয়ে এমন কিছু উপাদান আছে যা বিষণ্ণতা দূর করে মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা
টক দই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। দিন শুরু করার জন্য এই পুষ্টিকর টক দই এর বিকল্প নেই। টক দই দুগ্ধ জাতীয় খাবার যা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। আমরা সবাই টক দই খাবার উপকারিতা জানি কিন্তু সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমরা প্রতিদিন সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। টক দই পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যেমন ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি ২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যে পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও টক দই প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ হওয়ায় সকালে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সকালে টক দই খেলে পেট ফোলা বা ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা যদি নিয়মিত সকালে টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ে উচ্চ প্রোটিন উপাদান থাকার কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি হয়। একারণে অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমে যায়।
টক দইয়ে ম্যাগনেসিয়াম ড্রিঙ্ক ও সেলিনিয়ামের মত বিভিন্ন খনিজ পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে টক করে। টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হার গঠনে সাহায্য করে। অনেক সময় অফিস বা স্কুলে যাওয়ার সময় খাবার তৈরি হয় না। এ অবস্থায় খাবার না খেয়েই অফিস বা স্কুলে চলে যেতে হয়। এ সময় যদি এক কাপ টক দই খাওয়া যায় তবে শরীরে অনেক এনার্জি বা শক্তি পাওয়া যায়।
রাতে টক দই খেলে কি হয়
টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিন্তু টক দই খাওয়ার সঠিক সময় বা নিয়ম না জানার কারণে অনেক সময় নানা জটিলতায় পড়তে হয়। যেমন আমরা অনেকেই রাতে টক দই খায়। কিন্তু রাতে দই খাওয়া ঠিক কিনা তা অনেকেই জানি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে টক দই খাওয়া যাবে না। কারণ রাতে টক দই খেলে তা অন্য খাবারের সাথে মিশে পচনের সৃষ্টি করে।ফলে বুকে ইনফেকশন, ঠান্ডা লাগা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি বা গলা-ব্যথা হতে পারে। রাতে দই খেলে শরীরে মিউকাসের(বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের মূলে থাকে এই ধরনের মিউকাস) জন্ম হয়। ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি বা গলা-ব্যথা হতে পারে।
খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়
টক দই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার। দই খেলে শরীরে অনেক শক্তি বা এনর্জি পাওয়া যায়। খালি পেটে টক দই খেলে শরীর সুস্থ থাকে। কাজে মনোযোগ দেওয়া যায়। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় খালি পেটে টক দই খেলে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায় এবং অন্তরের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। পেট ফোলা বা ডায়রিয়া হলে খালি পেটে দই খেলে পেট ফোলা ও ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত খালি পেটে টক দই খেতে পারেন। কারণ টক দই প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ইচ্ছা কমে যায়। এভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টক দইয়ের ম্যাগনেসিয়াম জি ও সিড়িলিয়াম এর মত বিভিন্ন খনিজ পুলিশ উপাদান পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খালি পেটে টক দই খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। টক দইয়ে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হারকে মজবুত ও হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খালি পেটে টক দই খাওয়া উচিত। নিয়মিত খালি পেটে টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং খালি পেটে টক দই খাওয়ার ফলে মন মানসিকতা ভালো থাকে এবং বিষন্নতা দূর করে। খালি পেটে টক দই খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপকারিতা: টক দই খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। নিয়ম অনুযায়ী টক দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। টক দই খেলে পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । টক দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও টক দই খেলে পেটে আলসার হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। টক দই ফিটনেস ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
টক দই খেলে শরীরের টক্সিন বা ক্ষতিকর বর্জ্য জমতে পারেনা, ফলে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টক দই খেলে রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শ্বেতরক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত টক দই খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই খেলে খিদে কম লাগে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। তাই যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা নিজেদের খাদ্য তালিকায় টক দই যোগ করতে পারেন। টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে যা, হজম প্রক্রিয়া ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পেট ফোলা কিংবা ডায়রিয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে হাটকে সুস্থ ও সরল রাখে। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য টক দই খুবই উপকারী একটি খাবার। টক দইয়ে প্রাকৃতিকভাবে ইলেকট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টক দই খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
টক দইয়ের প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা দাঁত ও হাঁড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টক দইয়ে অস্টিওপরোসিস ও আরথ্রাইটিস থাকে, যা হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও টক দই খেলে মানসিক চাপ কমানো যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টক দইয়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা বিষণ্ণতা দূর করে মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের মুখে আলসার আছে তারা দিনে ২/৩ বার টক দই ও মধু মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা লাগালে বা খেলে মুখের ঘা বা আলসার ভালো হয়ে যায়।
অপকারিতা: টক দই বেশ উপকারি হলেও এরও কিছু অপকারিতা রয়েছে যা অনেকেই জানেনা। দই ঠান্ডা জাতীয় খাবার। তাই এটি খেলে সর্দি বা কাশি হতে পারে। এছাড়াও হাঁপানি, সাইনাস কন্ডিশন, সর্দি এবং হাঁচির মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন লোকদের জন্য দই না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও দই শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ দই খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা
টক দই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি অনেক উপকারী একটি খাবার। টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণও করে থাকে। টক দইয়ে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই ২২ পার্সেন্ট সামগ্রিক ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে বিভিন্ন মৌসুমী ফলের সাথে টক দই মিশিয়ে খাওয়া। যেমন আপেল, কলা, আঙ্গুর, খেজুর, আক্রোট ইত্যাদি ফলের সাথে টক দই মিশিয়ে খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে যায়।
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
টক দই দিয়ে ওজন কমানোর উপকারিতা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানিনা। ফলে যে টক দই খায় ঠিকি কিন্তু ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধি পায়। আজ আমরা ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানব। টক দই এর সাথে ভাজা জিরে ও জোয়ান মিশিয়ে পান করলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কয়েকদিনের মধ্যে ওজন কমে যায়।
ওজন কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে টক দইয়ের সাথে ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খাওয়া। তাছাড়া টক দইয়ের সাথে খেজুর, আখরোট ও আমন্ড ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। টক দই এর সাথে ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে। টক দই এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আপনার ওজন দ্রুত কমে যাবে। টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, জিরা গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ কুচি ও টক দই দিয়ে বানানো রাইতা খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে।
প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়
দই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি খাবার। দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টক দই অন্ত্রে থাকা মাইক্রোবায়োটার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ওজন ও রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত টক দই খেলে হাড় মজবুত হয়, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বোধ হয়। নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপ সচল থাকে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পেটের যে কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত টক দই খেলে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমতে পারে না। ফলে অকালবার্ধক্য রোধ করা যায়। নিজের সৌন্দর্য ও ফিটনেস ধরে রাখা যায়। রক্তের শ্বেতরক্তকণিকা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত টক দই খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
লেখকের মন্তব্য
টক দই আমাদের সকলের অতি সু-পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। নিয়মিত টক দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। টক দইয়ের তেমন কোনো অপকারিতা নেই। যারা দুধ খেতে পারেন না বিশেষ করে তাদের টক দই বেশি করে খাওয়া উচিৎ। কারণ টক দইয়ে দুধের পুষ্টিগুণ থাকে, যা দুধের ঘাড়তি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টক দই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সামান্য পরিমাণ হলেও টক রাখা।
টক দইয়ের এসকল উপকারিতা বন্ধুদেরকে জানাতে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।