গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত বিস্তারিত জানুন
সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমরা পানি পান করার অনেক উপকারিতা ও নিয়ম জানি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত তা অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমরা গর্ভাবস্থায় পানি পান করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
এছাড়াও একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক কত লিটার পানি পান করা উচিত এবং সকালে বাসি মুখে পানি খেলে কি হয়, রাতে পানি খাওয়া নিয়ম ইত্যাদি বিষয় সহ আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
ভূমিকা
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পানির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেহের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই পানি। পানি আমাদের শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পানি পিপাসা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করেন, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
পানি আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় পানি পান করার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু অনেকেই গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত এবং একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক কত লিটার পানি পান করা উচিত তা জানে না। তাই আজকে আমরা গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত সহ পানি পান করার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানবো।
বিশুদ্ধ পানির উপকারিতা
সুস্থ থাকার জন্য পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা সবাই পানি পান করি কিন্তু বিশুদ্ধ পানির উপকারিতা অনেকেই জানিনা। পানি শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থকে ধুয়ে শরীর থেকে বের করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।
আমরা আমাদের কর্মব্যস্ত এই জীবনে নিজের ত্বক ও শরীরের যত্ন নেওয়ার তেমন সময় পাইনা। ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং শরীরে বিভিন্ন অসুখের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করি তবে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
পরিমাণ মতো পানি পান করলে যেমন পানি ত্বককে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি বা ব্রণের হাত থেকে প্রতিরোধ করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সৌন্দর্যমন্ডিত করে তেমনি শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। বর্তমান সময়ে অনেকে অতিরিক্ত ওজন ও ফ্যাট বেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকেন। প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায়।
যেহেতু পানির মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ একদম শূন্য থাকে তাই পানি খেলে দেহের মেটাবলিসম বৃদ্ধি পায়, যা অতিরিক্ত মেদ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো পানি খেলে খিদে কম লাগে। ফলে অতিরিক্ত খাবার ইচ্ছা থাকে না, যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় কাজের চাপে বা বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে পরিমাণ মতো পানি পান করুন। তাহলে মাথা ব্যাথা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীরে যেকোনো ব্যথা, যন্ত্রণা, হার্টের রোগ, বাতের ব্যথা, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, কফ রোগ, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, কিডনি ও মূত্র বিষয়ক রোগ, মস্তিষ্কের সমস্যা জনিত সব ধরনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতকালে কতটুকু পানি খাওয়া উচিত
পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা গ্রীষ্মকালে যে পরিমাণ পানি পান করি শীতকালে তার অর্ধেক পানিও পান করি না। কিন্তু এটা ঠিক নয়। শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। ফলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে চামড়া উঠে যায়।
শরীরে পানি শূন্যতার ফলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, ঠোঁট ফেটে যায়, মরা চামড়া উঠাসহ ব্রণ থেকে ঘা হওয়া, প্রসাব হলুদ হয়ে যাওয়া, প্রসাবের নালিতে জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন হওয়া, হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্ক, লিভার সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে যেমন আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান গুলো শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায় তেমনি পানি পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে কম পান করলে ওই বিষাক্ত উপাদান গুলো শরীরের মধ্যেই রয়ে যায়। ফলস্বরূপ মাথা ঘোরা, বমি ভাব, শরীর দুর্বলতা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সহ নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা একজন ব্যক্তির বয়স, ওজন ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। যেহেতু শীতকালে অনেকে কম পরিশ্রম করে। তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২-২.৫ লিটার বা ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। আবার যারা শীতকালে অনেক বেশি পরিশ্রম করে থাকেন তাদের জন্য ৩-৪ লিটার বা ১০-১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। শুধুমাত্র পানি খেতে হবে এমন নয়। তরল জাতীয় যে কোন খাবার যেমন: চা, কফি, দুধ, ফল বা ফলের রস ইত্যাদি খেলেও হবে।
গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত
স্বাভাবিক অবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হয়। গর্ভাবস্থাও এর ব্যতিক্রম নয়। গর্ভকালীন সময়ে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়। কারণ গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
পানি শরীরের জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থকে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখে। যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা অনেকেই গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত তা জানি না।
সাধারণত একজন সুস্থ সবল পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ২-৩ লিটার(৮-১২ গ্লাস) পানি পান করা উচিত। গর্ভাবস্থায় যাতে ডিহাইড্রেশন না হয় তাই ২-৩ লিটার(৮-১২ গ্লাস) পানি পান করতে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ পানি পান করা প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে ওজন ও খাওয়া-দাওয়ার ওপর নির্ভর করে পানি পান করা উচিত। যাদের ওজন কম তাদের একটু কম এবং যাদের ওজন বেশি তাদের একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
সবসময়ই এটা মাথায় রাখতে হবে যে গর্ভাবস্থায় যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে যায় এবং কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক কত লিটার পানি পান করা উচিত
সুস্থ জীবনের জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। সাধারণত পানি পান করার পরিমাণ ব্যক্তির বয়স, তার কাজ, তার খাওয়া দাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ২-৩ লিটার বা ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
সকালে বাসি মুখে পানি খেলে কি হয়
পানি আমাদের শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে, শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ বের করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি কিন্তু সকালে বাসি মুখে পানি অনেকেই খায় না। তার কারণ আমরা অনেকেই সকালে বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা জানিনা।
কিন্তু আমাদের সকলের সকালে পানি খাওয়ার উপকারিতা জানা এবং প্রতিদিন সকালে পানি খাওয়া উচিত। কারণ রাতে আমরা দীর্ঘক্ষণ ঘুমায়। অনেকে হয়তো মনে করেন এই সময় তো আমরা কোন পরিশ্রম করি না তাই পানি পানির প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা ঘুমালেও আমাদের শরীরের ভেতরে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সর্বদা সংঘটিত হয়। তাই আমাদের সকলের উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা।
সকালে পানি পান করলে দেহের ক্ষতিকর টক্সিন ও বজ্র পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনিক সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুলি না করে আধা বা এক লিটার পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ মানবদেহের মুখের লালা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এছাড়াও বাসি মুখে পানি পান করলে গ্যাস্টিক, এসিডিটির মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে শুধু পানি খেতে হবে এমন নয়। তরল জাতীয় যেকোন খাবার যেমন: চা, কফি, ফলের রস ইত্যাদি খেলেও পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
রাতে কতটুকু পানি খাওয়া উচিত
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান সর্বদা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পান বা পানি পানের সঠিক সময় না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। দিনের বেলা পর্যন্ত পরিমাণে বা একটু বেশি পরিমাণে পানি খেলে সমস্যা হয় না কিন্তু রাতের বেলা অতিরিক্ত পানি পানের ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
রাতে বেশি পানি পানের ফলে বাথরুমের তাড়া বৃদ্ধি পায়। ফলে রাতে ঠিকভাবে ঘুম হয় না। ঘুম না হওয়ায় হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্ত চাপ, কোলেস্টেরল ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে 6 ঘন্টার কম ঘুম হলে স্টোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ থেকে ১.৩০ ঘন্টা আগে ১ বা ১.৫ গ্লাস পানি খাওয়া যায়, তবে এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, রাতে ১ থেকে ১.৫ গ্লাসের বেশি পানি পান করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত পানি খেলে কি হয়
পানি আমাদের জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। পানি খাবার হজম করতে, শরীরের ভিতরে বিভিন্ন বিপাকীয় কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে পানি পান করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমরা অতিরিক্ত পানি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানব।
একজন ব্যক্তির দিনে কি পরিমান পানি পান করা উচিত তা ব্যক্তিভেদে নির্ভর করে। তবে সাধারণত একজন পূর্ণবয়স্ক নারী-পুরুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রেও পানি পানের পরিমাণ নির্ভর করবে আবহাওয়া, শারীরিক শ্রম ও ওজনের ওপর। যেমন গ্রীষ্মকালে গরম আবহাওয়ার জন্য পানি বেশি পরিমাণে পানের প্রয়োজন হয় এবং শীতকালে ঠান্ডা হওয়ার জন্য কম পরিমাণে পানি পানের প্রয়োজন হয়।
অনেক সময় বেশি পরিশ্রম করার কারণে বেশি পরিমাণে পানি পানের প্রয়োজন হয়। তবে সর্বদা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করা উচিত। অতিরিক্ত পানি পান করলে শরীরে ক্লান্তি ভাব হয় এবং মাথাব্যথা সহ আরও অনেক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পানি পান করলে ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পাতলা হয়ে শরীরে সোডিয়াম এর পরিমাণ কমে যায়। শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধি পেলে দুর্বলতা, খিচুনি হওয়া ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অনেক সময় অতিরিক্ত পানি পানের ফলে শরীর অতিরিক্ত পানি ধরে রেখে ওজন বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত পানি পানির ফলে কিডনি সম্পূর্ণ তরল পদার্থ ত্যাগ করতে পারে না। ফলে দেহে অতিরিক্ত পানি জমে থাকে। শরীরে জমে থাকা এই অতিরিক্ত পানির ফলে হাইপোন্যাট্রিমিয়া হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
মন্তব্য
আমরা পানি পান করার বিভিন্ন উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। শরীরকে সুস্থ রাখতে আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানি পান করলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওজন বৃদ্ধি জনিত সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক, স্টোক ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আশা করি আপনারা এই পোস্ট করে অনেক নতুন নতুন তথ্য পেয়েছেন। বন্ধুদেরকেও পানি পান করার এসব তথ্য জানাতে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।