আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং-স্ক্রিনশট টেকনিকস-কপিরাইটিং বিষয়ে বিস্তারিত জানুন

সুপ্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং, স্ক্রিনশট টেকনিক এবং কপিরাইটিং। আমরা অনেকেই ব্লগ বা আর্টিকেল লিখি। কিন্তু আর্টিকেল স্পিনিং কি বা আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং কি, কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয় বা কপিরাইটিং কি এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। তাই আজকে আমরা আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং, স্ক্রিনশট টেকনিক, কপিরাইটিং ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।


এছাড়াও আর্টিকেল বা পোস্ট মান সম্মত করার জন্য গ্রামারটিক্যাল এরর এবং plagiarism কি এবং এটা কেন করা উচিত নয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো

ভুমিকা

আর্টিকেল বা পোস্ট পাঠকদের সহজে বোঝার জন্য বা মন মতো করার জন্য কিছু ট্রিকস অনুসরণ করতে হয়। এর জন্য আর্টিকেল স্পিনিং বা অন্যের লেখা আর্টিকেল থেকে হুবহু কপি না করে সেখান থেকে কিছু শব্দ যোগ বা বিয়োগ করে নতুন টি আর্টিকেল লিখতে হবে। এবং আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং বা শুধুমাত্র কিওয়ার্ড দিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে দেয় এমন টুলস ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখে পাঠকদের কাছে প্রকাশ করা যাবে না।

পাঠকদের সুবিধার জন্য আর্টিকেলের মাঝে মাঝে প্রাসঙ্গিক কিছু ছবি আপলোড করতে হয়। এর জন্য কিছু স্ক্রিনশট টেকনিক জানা প্রয়োজন। তাই আজকে আমরা আর্টিকেল স্পিনিং, স্ক্র্যাপিং, স্ক্রিনশট টেকনিক ছাড়াও কপিরাইটিং বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। কারণ এ সকল বিষয় সঠিক ভাবে ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেল পাঠকদের পছন্দ হয়।

স্ক্রিনশটস টেকনিকস

আর্টিকেল লেখার সময় পাঠকরা যাতে করে সহজে বুঝতে পারে সেজন্য স্ক্রিনশট নিয়ে আর্টিকেলের মাঝে মাঝে যোগ করতে হয়। এতে করে পাঠক সহজেই বুঝে যায় তাকে কোথায় কি করতে হবে। কিন্তু আমাদের অনেক সময় স্ক্রিনশট টেকনিকস জানা না থাকার কারণে স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় ভুল হয়ে যায়। তাই আজকে আমরা কয়েকটি স্ক্রিনশট টেকনিকস সম্পর্কে জানব।

মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট নেওয়ার উপায়

মোবাইল বা স্মার্টফোনে বিভিন্ন উপায়ে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। যেমন কিছু কিছু মোবাইলে ভলিউম আপ বাটন ও ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে চাপ দিলে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। আবার অনেক স্মার্টফোনে ভলিউম আপ বাটন ও পাওয়ার বাটন একসাথে চাপ দিলে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। আবার কোন কোন স্মার্টফোনে তিনটি আঙ্গুল একসাথে উপর থেকে নিচের দিকে আনলেও স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। এছাড়াও আরো কিছু টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।

কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার উপায়

আমরা অনেকেই মোবাইল ফোনে কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয় জানি। কিন্তু অধিকাংশই প্রফেশনাল ভাবে ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নিতে হয় তা জানে না। তাই আজকে আমরা কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানব।

প্রথমে যে জিনিসের স্ক্রিনশট নিবেন সেটা ডিসপ্লের উপরে নিয়ে আসতে হবে। তারপর উইন্ডোজ ১০ বা ১১ যেটা ব্যবহার করেন তাতে স্টার্ট মেনুতে চাপ দেওয়ার পর স্নিপিং টুল(snipping tool) খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে সার্চ বক্সে গিয়ে স্নিপিং টুল লিখে সার্চ করতে পারেন। তারপর স্নিপিং টুল ওপেন করে New বাটনে চাপ দিতে হবে।

তারপর যতটুকু অংশের স্ক্রিনশটস নেওয়া প্রয়োজন ততটুকু অংশ মাউসের সাহায্যে সিলেক্ট করতে হবে। তারপর ছবি সেভ করার জন্য থ্রি ডটে (...) ক্লিক করেও সেভ করতে হবে অথবা কিবোর্ড থেকে Ctrl+S একসাথে চেপে ডেস্কটপ সিলেক্ট করে ফাইলের নাম দিয়ে সেভ করতে পারেন। এই টুল ব্যবহার করে স্ক্রিনশট দেওয়ার পর তা ক্রপ করা বা কাস্টমাইজ করার জন্য Adobe Photoshop সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।

তবে বর্তমান সময়ে লাইট শট নামক সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই স্ক্রিনশট নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। এই সফটওয়্যার সবচেয়ে সহজ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। লাইট শট ইনস্টল ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউটিউব এ টিউটোরিয়াল দেখতে পারি।

গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার

গ্রামারটিক্যাল এরর দুইভাগে চেক করা যায়। যেহেতু আমরা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় পোস্ট বা আর্টিকেল লেখালেখি করি। সে ক্ষেত্রে ইংরেজী লেখায় বানান ভুল হলে লেখার নিচে লাল দাগ শো করে। এক্ষেত্রে লেখার উপর রাইট বাটনে ক্লিক করলে সঠিক বানান আসে সেটা দেখে সিলেক্ট করতে হবে।

আপনি যদি অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করেন তবে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে সার্চ অপশনে গিয়ে অভ্র স্পেল চেকার ডি ওপেন করে কিছু লিখলে ভুল আছে কিনা চেক করে বানান ঠিক করে নিতে পারেন অথবা কিবোর্ড শর্টকাটে f7 ক্লিক করতে পারেন।

অপশনের মধ্যে চেঞ্জ ওয়ানস্ এ ক্লিক করলে শুধুমাত্র একটি বানান ঠিক হবে। সব বানান সিলেক্ট করে চেঞ্জ অল এ ক্লিক করলে সব বানান ঠিক হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে একটা করে বানান সিলেক্ট করে ঠিক করাটাই উত্তম।

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ

কপিরাইট এবং কপিরাইটিং দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কপিরাইট বলতে কোন বস্তু, খাবার জিনিস, বাড়ি, লেখালেখি বা তথ্য যদি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির হয় তখন তাকে কপিরাইট বলে। অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকাধীন রয়েছে এমন যেকোনো বিষয়কে উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কপিরাইট বলা হয়।

আর কপিরাইটিং হচ্ছে কোন পাঠক বা গ্রাহক অথবা ব্যক্তিকে বিভিন্ন সামগ্রী তথ্য প্রচার ও বিক্রির জন্য তার মনোযোগ আকর্ষণ করে তার কাছে প্রতিজ্ঞা করা যে আমরা আমাদের সকল সার্ভিস বা প্রোডাক্ট তার কাছেই বিক্রি করতে চাই এবং উক্ত ব্যক্তিকে আমাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করানো বা প্রদান করা এই সমস্ত বিষয় কে একত্রে কপিরাইটিং বলে।

কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে তিনটি অংশ বা পাঠ রয়েছে। সেগুলো হলো গ্রাহক বা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করা, উক্ত সার্ভিস বা প্রোডাক্ট দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া এবং উক্ত সার্ভিস উক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করা।

আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ

এক কথায় আর্টিকেল স্পিনিং বলতে একটি আর্টিকেল থেকে অন্য আরেকটি আর্টিকেল তৈরি করা কে বোঝায়। অর্থাৎ একটি আর্টিকেলের তথ্যগুলো নিয়ে নিজের মতো করে ঐ তথ্যগুলো ব্যবহার করে নতুন আরেকটি আর্টিকেল তৈরি করাকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে।

আর আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং বলতে বোঝায় কোন টুলসে(যেমন ai একটি টুলস) শুধুমাত্র একটি কিওয়ার্ড দেওয়ার পর সেই টুলস কিওয়ার্ড অনুসারে অটোমেটিক ভাবে একটি নতুন আর্টিকেল লিখে দিচ্ছে। এটাকে আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং বলে। অর্থাৎ শুধুমাত্র কিওয়ার্ড দিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে দেওয়ার কাজকে আর্টিকেল স্ক্রাপিং বলে।

তবে আর্টিকেল ক্র্যাপিং করা ঠিক নয়। কারণ গুগল যদি ট্র্যাক করে দেখতে পাই বা বুঝতে পারে যে এই আর্টিকেলটি স্ক্র্যাপিং করে তৈরি করা তাহলে ওয়েবসাইটের সমস্যা হতে পারে বা ওয়েবসাইট ব্লক করে দিতে পারে।

Plagiarism কি? কেন করবেন না

প্লাগারিজম বলতে তথ্য চুরি করা বোঝায়। অর্থাৎ অন্যের লেখা আর্টিকেল বা কোন তথ্য হুবহু নকল বা কপি করাকে প্লাগারিজম বলে। প্লাগারিজম করা উচিত নয় কারণ অন্যের তথ্য হুবহু কপি করে তাকে কোন ক্রেডিট না দিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করলে যদি যার তথ্য কপি করে পাবলিশ করা হয়েছে সে কপিরাইট মামলা কর তবে ওয়েবসাইটের ক্ষতি হয়।

অনেক সময় ওয়েবসাইট ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আইনি মামলা করলে জেল এবং অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কারো তথ্য না জানিয়ে নেওয়া উচিত নয়।

Buying কি-ওয়ার্ড র‍্যাংক করে টাকা ইনকাম করা

বায়িং কিওয়ার্ড হচ্ছে এমন কিওয়ার্ড যার মাধ্যমে কোন পণ্য বেচাকেনা করা হয়। এই কি-ওয়ার্ডগুলো পোস্ট এর মধ্যে ব্যবহার করা হয়। পাঠক কোন বিষয়ে পোস্ট বা আর্টিকেল পড়তে এসে উক্ত কিওয়ার্ড গুলো দেখতে পাই। কিওয়ার্ডের মধ্যে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করার লিংক দেওয়া থাকে। গ্রাহকেরা এই লিংকের মধ্যে প্রবেশ করে ওয়েবসাইট থেকে পন্য ক্রয় করে।

লিংক এর মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের এই ব্যবস্থা করার জন্য উক্ত পণ্যের মালিক টাকা দেয়। এভাবে বায়িং কিওয়ার্ড র‍্যাংক করে টাকা ইনকাম করা হয়।

মন্তব্য

এই আর্টিকেলে আমরা আর্টিকেল লেখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা। করেছি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং এই আর্টিকেলটি উপকৃত হয়েছে। আর্টিকেল রাইটিং এর এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বন্ধুদেরকে জানাতে শেয়ার করুন এবং এ বিষয়ে আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন